একদিনে
সীতাকুণ্ড ভ্রমণ: চন্দ্রনাথ পাহাড়, খৈয়াছড়া ঝর্ণা এবং গুলিয়াখালী
ভ্রমণপিপাসুদের জন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড যেমন আকর্ষণীয় তেমনই রোমাঞ্চকর। এ কারণেই পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষস্থানে আছে সীতাকুণ্ড।সেখানে গেলে পাহাড়, সমুদ্রসৈকত, মন্দির, ঝরনা, ট্রেইল, ট্রেকিং ঝিরিপথ, কৃত্রিম লেক প্রকৃতির সব বিস্ময়কর রূপ উপভোগ করতে পারবেন।কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই বেশ কয়েকদিন হাতে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার সময় পান না। এমন মানুষেরা ডে লং টুর বা একদিনেই ভ্রমণের জন্য বিভিন্ন গন্তব্যের খোঁজ করেন।তাদের জন্য চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ভ্রমণ হতে পারে সেরা বিকল্প। জেনে নিন একদিনেই সীতাকুণ্ডের কোন ৩ স্থানে ভ্রমণ করতে পারবেন-
চন্দ্রনাথ
পাহাড়
পর্যটকদের
জন্য রোমাঞ্চকর এক স্থান চন্দ্রনাথ
পাহাড়। এই পাহাড়ের সৌন্দর্য
দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ভিড় করেন। অনেকেই বিশাল এই পাহাড়ে উঠতে
গিয়ে ক্লান্ত হয়ে নিচে নেমে যান। আবার অনেকেই পাহাড় জয় করার আনন্দ
নিয়ে সেখান থেকে ফেরেন।
চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে সাড়ে ৩ কিলোমিটার পূর্বে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের অবস্থান। এর সর্বোচ্চ চূড়ার উচ্চতা ১১৫২ ফুট বা ৩৬৫ মিটার। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় আছে এক শিব মন্দির।
তবে মন্দির দর্শনের জন্য আপনাকে পাড়ি দিতে হবে ২২০০টিরও বেশি সিঁড়ি। কোনো কোনো স্থানের সিঁড়িগুলো এতোটাই পিচ্ছিল ও সংকীর্ণ যে ওঠা বিপজ্জনক হতে পারে। আর বুঝতেই পারছেন, সামান্য এদিক-সেদিক হলে পা পিছলে পড়বেন পাহাড়ের খাদে।
কীভাবে যাবেন?
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের বাসে গেলে সীতাকুণ্ড নামা যায়। চট্টগ্রাম শহরের অলঙ্কার মোড় থেকেও বাসে আসা যায়। জনপ্রতি ভাড়া ৩০-৪০ টাকা। সিএনজি চালিত অটো রিকশা নিয়েও যেতে পারেন চট্টগ্রাম শহর থেকে। ভাড়া পড়বে ৩০০-৪০০ টাকা।
গুলিয়াখালী
সি বিচ
প্রকৃতির অপার বিস্ময় লুকিয়ে আছে স্থানটিতে। সমুদ্রসৈকতের পাশে অনেকটা সোয়াম্প ফরেস্ট ও ম্যানগ্রোভ বনের মতো স্থানটি। দূর থেকে দেখলে মনে হবে, সৈকত জুড়ে সবুজ গালিচা বিছানো। সমুদ্র পাড়ের এই মনোরোম সৌন্দর্য বোধ হয় অন্য কোথায় দেখতে পাবেন না!
মহামায়া
লে
গুলিয়াখালী
সমুদ্র সৈকত দর্শনের পর যত দ্রুত
সম্ভব দুপুরের খাবার শেষ করে রওনা দিতে হবে মহামায়া লেকের উদ্দেশ্যে। এটি দেশের অন্যতম নবীন কৃত্রিম লেক হলো মহামায়া। ১৯৯৯ সালে মহামায়া খালের ওপর স্লুইস গেট স্থাপনের মাধ্যমেই এর সৃষ্টি।
চট্টগ্রামের
মিরসরাই উপজেলার ৮ নম্বর দুর্গাপুর
ইউনিয়নের ঠাকুরদিঘীর বাজার থেকে দুই কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে তোলা হয়েছে মহামায়া লেক। ১১ বর্গ কিলোমিটার
জায়গা জুড়ে এটি অবস্থিত। মূলত এটি একটি সেচ প্রকল্প। মহামায়া প্রকল্পে আছে লেক, পাহাড়, ঝরনা ও রাবার ডেম
.jpg)

Comments
Post a Comment